বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপে এ কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
এক ফরাসি মুখপাত্র জানান, ম্যাক্রোঁ বলেন, পুতিন নিজেকে গুলিয়ে ফেলছেন এবং কিয়েভে সরকারকেও বিপদে ফেলেছেন। তিনি বলেন, এই যুদ্ধ রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্মুখীন করবে।
রয়টার্সকে ফরাসি মুখপাত্র আরও জানান, এই ফোনকলে পুতিন ইউক্রেনকে কূটনৈতিক বা অস্ত্র দিয়ে নিরস্ত্র করার পুরনো বাসনার কথাই নতুন করে বলেছেন। আমাদের সান্ত্বনার কিছুই শোনাতে পারেননি পুতিন। তাদের যা পরিকল্পনা ছিল সেটাই করা হবে। পুতিন ‘নাৎসিমুক্ত ইউক্রেনের’ কথাই বলেছেন।
ম্যাক্রোঁ বলেন, আপনি নিজেকেই নিজে মিথ্যা বলছেন। আপনার দেশকে এটা মূল্য দিতে হবে, একঘরে করে দেওয়া হবে, দীর্ঘমেয়াদী সব নিষেধাজ্ঞায় আপনাদের দুর্বল করে ফেলা হবে।
এদিকে ইউক্রেন সীমান্তের অজ্ঞাত স্থানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এ বৈঠক শুরু হয়। খবর সিএনএন।
এর আগে গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কোনো সমাধান ছাড়াই ওই বৈঠক শেষ হয়।
পরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেডেনস্কি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই বেলারুশ-পোলিশ সীমান্তে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বেলারুশ সীমান্তে সোমবারের বৈঠকে রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন তিনি। এই রুশ রাজনীতিবিদ বলেন, আমরা বৈঠক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চুক্তির মতো কিছু একটি আছে বলা যায়।
ওইদিন মিখাইলো পডোলিয়াক বলেন, দুপক্ষের মধ্যে প্রথম দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। তাদের প্রথম লক্ষ্য অস্ত্রবিরতি ও যুদ্ধের অবসান নিয়ে কথা হয়েছে। কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোডম্যাপ আকারে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আরো পরামর্শ করতে প্রতিনিধিরা রাজধানীতে ফিরে গেছেন। সিদ্ধান্ত নিতে তারা আরেকদফা আলোচনায় বসবেন।