১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চাপাডাঙ্গার বৌ’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে হাতেখড়ি নায়ক বাপ্পারাজের। প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে তিনি বুঝিয়ে দেন যে, নায়করাজের ছেলে তিনি। অভিনয় তার রক্তে।
ছবিটির শুটিং হয় ১৯৮৪ সালে। তখন বাপ্পার বয়স মাত্র ১৬ বছর। মানিকগঞ্জের নবগ্রামে সেদিন সবাইকে অবাক করে বাপ্পা একবারেই আবেগঘন মুহূর্তের কঠিন একটি শট ‘ওকে’ করেছিলেন। যা অনেক পরিপক্ক অভিনেতাকে দিয়েও হয় না।
এরপর বাপ্পারাজকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ১০০টিরও বেশি সিনেমা উপহার দিয়েছেন এ নায়ক, যার বেশিরভাগই ব্যবসা সফল। এদের মধ্যে ‘চাঁপাডাঙার বউ’, ‘প্রেমশক্তি’, ‘বিদ্রোহী প্রেমিক’, ‘ঢাকা ৮৬’, ‘জ্বিনের বাদশা’, ‘প্রেমগীত’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘প্রেমের সমাধি, ‘বাবা কেন চাকর’ অন্যতম।
বাপ্পারাজকে বাংলা সিনেমার ’ট্র্যাজিক হিরো’ বলা হয়। বেশিরভাগ ছবিতেই তাকে ব্যর্থ প্রেমিকের ভূমিকায় দেখা গেছে। প্রেমিকাকে বন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে মরে যেতে তাকে দেখা গেছে অনেক সিনেমায়।
এমন চরিত্রেই কেন তাকে বেশি দেখা গেছে সে প্রশ্নে এ অভিনেতা জানান, ওই চরিত্রেই তাকে বেশি মানাতো বলে এটা করতেন। সিনেপ্রেমীরা তাকে এমন চরিত্রেই বেশি দেখতে চেয়েছেন। বিষয়টিকে একজন অভিনেতার সার্থকতা বলেও মনে করেন বাপ্পা।
গত ১১ মার্চ নিজের জন্মদিনে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ বলেন, ‘আমি ওই জায়গায় বেস্ট ছিলাম বলেই সবাই এমনটা বলে থাকেন। আমি ১০০ ছবির মধ্যে ১০–১৫টায় ব্যর্থ প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বাকিগুলো তো নরমাল চরিত্র করেছি। এত ছবির মধ্যে ওই ১০–১৫টা যখন সবকিছু ছাপিয়ে গেছে, লোকে মনে করে, এই ব্যাটা বুঝি ওটাই—ওটাই তো একজন শিল্পীর সফলতা।’
সফল প্রেমিক না হওয়া নিয়ে কোনো কষ্ট নেই বাপ্পারাজের।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি কোনো কষ্ট বা বেদনা নেই আমার। সেটা থাকারই বা কী আছে? ব্যর্থ প্রেমিক হয়েই তো আমি সফল। কজন অভিনেতা এমনটা পারে? আমি পেরেছি। সফল হয়েছি। ছবিতে হিরোকে টপকে গেছি, এটা আমার ক্রেডিট না?’