করাচি টেস্টে দারুণ নাটকীয়তা দেখালো পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে অল আউট হওয়া দলটি শেষ পর্যন্ত হার এড়িয়ে উপহার দিয়েছে রোমাঞ্চকর এ ড্রয়ের। যে ড্রয়ের নায়ক অধিনায়ক বাবর আজম। খেলেছেন ১৯৬ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে এটি বিশ্বরেকর্ড।
অথচ দাপুটে ব্যাটিংয়ে জয়ে চোখ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু বাবর আজম, আব্দুল্লাহ শফিক ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের অটল দৃঢ়তায় দ্বিতীয় টেস্ট হলো ড্র।
প্রথম টেস্টও হয়েছিল ড্র। আগামী ২১ মার্চ লাহোরে শুরু হবে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।
প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৫৫৬ রানে ডিক্লিয়ার দেয় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে প্রথম ইনিংসে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। অল আউট হয় মাত্র ১৪৮ রানে। পাকিস্তানকে ফলোঅন না করিয়ে আবার ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯৭ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।
তাতে পাকিস্তানের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৫০৬ রান। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৯২ রান। শফিক ৭১ ও বাবর আজম ১০২ রানে ছিলেন অপরাজিত।
বুধবার ম্যাচের শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল আট উইকেট। পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩১৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান। ম্যাচ ড্র।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার শফিক ও বাবর নামেন এদিন ব্যাট করতে। দলীয় ২৪৯ রানে বিদায় নেন ওপেনার শফিক। মাত্র ৪ রানের জন্য তিনি পাননি শতকের দেখা। ৯৬ রান করে কামিন্সের বলে তিনি ক্যাচ দেন স্মিথের হাতে। ফুয়াদ আলম বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি বাবর আজমকে। ২৭ বলে ৯ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে কামিন্সের বলে ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়ে।
তবে রিজওয়ানের সাথে জমে বাবরের জুটি। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৩৯২ রান অবধি। সারাদিন দারুণ খেলা বাবর আজম ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথে তখন। তখনই লায়নের বলে লাবুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাক অধিনায়ক। ৪২৫ বলে তিনি খেলেন ১৯৬ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ২১টি চার ও একটি ছক্কার মার। টেস্টে বাবরের আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৪৩।
বাবরের বিদায়ের পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন ফাহিম আশরাফ। দিনের বাকি সময়টাতে ম্যাচ বাঁচিয়েছেন বলতে গেলে কিপার ব্যাটার ফাহিম আশরাফ। তিনি হাঁকান সেঞ্চুরি। ১৭৭ বলে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৪ রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে ফাহিমের এটি দ্বিতীয় শতক। সাজিদ খান করেন ৯ রান। বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান লায়ন চারটি, কামিন্স দুটি ও ক্যামেরন গ্রিন একটি উইকেট নেন।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অনুমিতভাবে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।