নিরাপত্তার স্বার্থে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি এ তিনটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
শনিবার বিকালে বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা আরও চার দিন বৃদ্ধি করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি তিনটি উপজেলার সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা ছিল তিনটি উপজেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় গত মাসের ১৮ অক্টোবর থেকে এবং থানচি উপজেলায় গত মাসের ২৩ অক্টোবর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ষষ্ঠ দফায় সময়সীমা আরও ৪ দিন বাড়িয়ে রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি তিনটি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে গোটা বান্দরবান জেলায় ধস নেমেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সবধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে। পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে জেলার দর্শনীয় পর্যটন স্পটগুলো। এদিকে নিষেধাজ্ঞায় রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগালেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণা, থানচি উপজেলার নাফাকুম, অমিয়কুম, বড়পাথর, রেমাক্রী, বাদুরগুহা, আন্ধারমানিক, বাকলাই ঝর্ণাসহ আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।