‘বঙ্গবাজার ঝুঁকিপূর্ণ ৪ বছর আগে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস, কান দেননি ব্যবসায়ীরা’

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হওয়া বঙ্গবাজারের ঝুঁকির কথা ৪ বছর আগে সেখানকার ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

দীর্ঘ সাড়ে ৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণের আসার পর মঙ্গলবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ডিজি বলেন, চার বছর আগেই ঝুঁকির কথা ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। একাধিকবার নোটিস দিলেও তারা সতর্ক হননি।

আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিস ডিজি। ভোর থেকেই সেখানে অবস্থান করে বাহিনীর কর্মীদের কাজ তদারকি করছিলেন তিনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ব্রিফিংয়ে আসেন ডিজি। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বঙ্গমার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তারা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তারা ছাড়াও অন্য কোনো সংস্থা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।

আগুন কিভাবে লাগল জানতে চাইলে ডিজি মাইন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি এখন বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।

তিনি বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। উৎসুক জনতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়েছে।

মো. মাইন উদ্দিন জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের যে ৮ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের দুজনের অবস্থা গুরুতর।

বাংলাদেশে পাইকারি কাপড়ের বৃহৎ আড়ত হিসেবে পরিচিত এই বঙ্গবাজারে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা বাহিনী ও বিমানবাহিনীর দুটি দল প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরমধ্যে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়ে যায়। পাশের পুলিশ সদর দপ্তরের একটি ভবন, এনেক্সকো টাওয়ারসহ আরও কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় আগুনে। বঙ্গবাজারের এ অগ্নিকাণ্ড স্মরণকালের ভয়াবহ ঘটনা।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ