গেল বছরের অক্টোবর থেকে আইন-আদালতের চরকি পাক কাটছেন শাহরুখ খান। মাদক মামলায় বড় ছেলে আরিয়ানের জেল-জরিমানায় ভুগেছেন কয়েকটা মাস।
একটু হাফ ছেড়ে বাঁচতেই ফের আদালতের চরকি কাটতে হচ্ছে কিং খানকে।
‘রইস’ ছবির প্রচারে ঘটা যাওয়া এক দুর্ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। সে সময় শাহরুখের এক প্রচারণা দেখতে এসে ভিড়ের চাপে পড়ে মারা যান ফরিদ খান নামের এক ব্যক্তি।
এ মৃত্যুর জন্য শাহরুখকে দায়ী করে গুজরাটের ভাদোদারার নিম্ন আদালতে মামলা করেছিল ফরিদের পরিবারের সদস্যরা।
ফরিদ খান ছিলেন একজন শাহরুখভক্ত। তার মৃত্যুর জন্য কোনো দায় নেই দাবি করে আবেদন করেন শাহরুখ।
শাহরুখের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে গুজরাট হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
সেই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ফরিদ খান নামের ওই শাহরুখভক্তের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল এবং অন্য কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য কোনোভাবেই দায়ী নন শাহরুখ খান।
এ আবেদনের শুনানি গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে গুজরাট হাইকোর্টে।
হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন, নিহতের পরিবার যদি রজি থাকেন তবে ভক্তের মৃত্যুর ঘটনায় শাহরুখ খানকে তাদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আর ফরিদ খানের মৃত্যুর মামলার শুনানি আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রইস’ ছবির প্রচারে ট্রেনে চেপে ১৭ ঘণ্টায় মুম্বাই থেকে দিল্লি পৌঁছেছিলেন শাহরুখ খান। সেই ট্রেন সফরে একাধিক স্টেশনে ছবির প্রচারণা করেন বলিউড বাদশা। ওই বছরের ২৩ জানুয়ারি গুজরাটের ভাদোদারা স্টেশনের মধ্যে দিয়ে যখন যাচ্ছিলেন তখন শাহরুখকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় পুলিশকে। তখনই ভিড়ের টাপে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান ফরিদ খান। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস