প্রতিবছর ৪ হাজার বাংলাদেশীকে কাজের সুযোগ দেবে গ্রিস

বাংলাদেশ ও হেলেনিক রিপাবলিক গ্রিসের মধ্যে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিবছর ৪ হাজার নতুন বাংলাদেশী কর্মী গ্রিসে কাজের সুযোগ পাবে।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও গ্রিসের পক্ষে গ্রিসের মিনিস্টার অফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম প্যানাইয়োটিস মিতারাচি এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব ড আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও রিপাবলিক অফ হেলেনিক গ্রিসের সেক্রেটারি জেনারেল অফ মাইগ্রেশন পলিসি পেট্রোক্লস জর্জিওজিয়াডিস উপস্থিত ছিলেন।

এ সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য গ্রিসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলো। একইসাথে গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

গ্রিস বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর চার হাজার নতুন কর্মীকে সেদেশে কাজ করার সুযোগ দেবে। তাদেরকে পাঁচ বছর মেয়াদী অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে। এ চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে মৌসুমি কর্মী নেয়া হবে। পরে উভয় দেশ আলোচনাক্রমে চাহিদার ভিত্তিতে সেক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসতে হবে। তবে তারা কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিসে যেতে পারবেন। আবেদনের সময় বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট, বৈধ ওয়ার্ক কন্ট্রাক্ট, অসুস্থতাজনিত ইন্স্যুরেন্সের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রিক মন্ত্রী জানান, এই চুক্তিটি গ্রিসের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।

এটি ইউরোপের কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রথম সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণ নিয়োগকারীদের ব্যয়ে গ্রিসে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনো আগ্রহী ব্যক্তি যেন কোনোভাবে কোনো দালাল বা প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

গ্রিসের মিনিস্টার অফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম প্যানাইয়োটিস মিতারাচি বলেন, বাংলাদেশী কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানবপাচারকারীরা তাদের ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশী কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সূত্র : ইউএনবি

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ