নিজের স্ত্রীর কাছে ছদ্মবেশে বন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন পুতিন!

বিয়ে করার আগে নিজের প্রেমিকার চরিত্র যাচাইয়ের জন্য এক বন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর সেই পরীক্ষায় পাশ করায় তাকে বিয়ে করেন পুতিন।

ছোটবেলা থেকে রাশিয়ার গোয়েন্দা চরিত্র স্টিয়ারলিটজের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। আর সেই ভালো লাগা থেকেই নিজেরও গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল।

স্টিয়ারলিটজের গল্প দিয়ে তৈরি সিনেমা ‘সেভেনটিন মোমেন্টস্ অব স্প্রিং’ সিনেমা ছাড়াও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা বিভিন্ন সিনেমা তাকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল গুপ্তচর সংস্থায় যোগ দিতে।

১৯৭৩ সালে ‘সেভেনটিন মোমেন্টস অব স্প্রিং’ মুক্তি পাওয়ার সময় ভ্লাদিমিরের বয়স ছিল ২১। এর দুই বছর পর ১৯৭৫ সালে তিনি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে যোগ দেন। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সেখানে কাজ করেন তিনি। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিনি ক্রেমলিনের কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন।

তবে গুপ্তচরদের পক্ষে যে কোনো সাধারণ মানুষকে বিয়ে করে সংসার করা সহজ ব্যাপার ছিল না। গুপ্তচরদের সবসময়ই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। নিজের কাজ সম্পর্কে বলা যায় না পরিবারের সদস্যদেরও। গুপ্তচরদের সন্দেহের তালিকায় থাকেন সবাই। নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে বিশ্বাস করাও কঠিন হয়ে পড়ে।

এমনটি ঘটেছিল পুতিনের সঙ্গেও। তিনি বিয়ের আগে তার প্রেমিকা লুদমিলাকেও বিশ্বাস করতে পারেননি। প্রেম করার সময় লুদমিলাকে নিজের কর্মজীবন সম্পর্কেও জানাননি তিনি। নিজের পরিচয় গোপন পুতিন নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেন।

বিয়ের আগে প্রেমিকার চরিত্র যাচাই করতে লুদমিলার কাছে নিজের এক বন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন পুতিন। নিজেকে বড়লোক বলে জাহির করা ওই বন্ধু পুতিনের কথায় লুদমিলাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তবে লুদমিলা সাফ জানিয়ে দেন, তার একজন ‘পুলিশ’ প্রেমিক আছে এবং তিনি তাকেই বিয়ে করতে চান।

পরীক্ষায় পাশ করার পরই আর দেরি করেননি পুতিন। বুঝে গিয়েছিলেন, লুদমিলাই সঠিক জীবনসঙ্গী। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করে নিজেদের দাম্পত্য জীবন শুরু করেন পুতিন-লুদমিলা।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ