নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, একটা লোক অ্যারেস্ট হলে এলাকাটা কানা হয়ে যায়। হাতির ব্যাজ যার কাছে পেয়েছে তাকেই ধরা হয়েছে। এভাবে তারা আমার ওপর জুলুম অত্যাচার করলো। জুলুম না করলে সরকারকে বুঝিয়ে দিতাম, জাহাঙ্গীর কবির নানককে বুঝিয়ে দিতাম ঘুঘুর ফাঁদ কোথায় আছে।
গত ৯ জানুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে প্রতিপক্ষ তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছিলেন, ‘ঘুঘু দেখেছেন, ফাঁদ দেখেন নাই’। ওই বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের মাসদাইরে মজলুম মিলনায়তনে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তৈমূর আলম খন্দকার। নাসিক নির্বাচন পরবর্তী ‘ইভিএম মেশিনে ভোট, জাতির জন্য অশনিসংকেত’ শীর্ষক এ আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘আমাকে বলে নারায়ণগঞ্জে উন্নয়ন হয়েছে। তবে উন্নয়নের সঙ্গে সুশাসন না থাকলে জনগণ লাভবান হয় না। প্রধানমন্ত্রীও বলেন দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে তবে দেশে কোনো সুশাসন নেই। সুশাসন না থাকলে জনগণ উন্নয়নটা ভোগ করতে পারে না। একটা গ্রুপ সেটা ভোগ করে। আওয়ামী লীগের সবাইও এটা ভোগ করে না। আওয়ামী লীগেও একটা অংশ আছে যারা নির্যাতিত। কিন্তু যারা প্রধানমন্ত্রী পরিবারের আশীর্বাদপুষ্ট তারাই সুবিধা ভোগ করে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে বলে অভিযোগ করেন তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেন, ‘সব সুবিধা সিন্ডিকেট ভোগ করছে, সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে না। জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) উন্নয়নের শেয়ার কোথায় যায় সময় হলে আমি সব বলবো। আমি বিনা হিসাবে নির্বাচন করতে আসিনি। আমি মনে করি এ নির্বাচনে আমার লাভ হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত লাভ হয়েছে, পাশাপাশি দলেরও লাভ হয়েছে। আমাকে যতই বহিষ্কার করুক আমি বিএনপির সমর্থক হিসেবে থাকবো। আমি বিএনপিকে আমার দল মনে করি এবং মৃত্যু পর্যন্ত এটাই করে যাবো।’
তিনি বলেন, আজ যারা বড় নেতা না, আমরা এতদিন ঘর থেকে বের হতে পারিনি তবে এবার ঘর থেকে বের হয়েছি। বিএনপি যে আছে এটা সরকার টের পেয়েছে এবং জনগণও বুঝেছে। এ কারণেই কূটকৌশল করতে হয়েছে।