ইসরাইলি ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে গাজাবাসী আজ রোববার ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। আজ সকালে বিধ্বস্ত এলাকার মধ্যেই ঈদের জামাত হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলি হামলার আজ ২৫৪তম দিন। এত দিনের ইসরাইলি তাণ্ডবে গাজার সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের জীবন, জীবিকা কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের বাসভবন, মসজিদ- সবাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে ঈদের আনন্দ বলতে আর কিছু নেই।
গাজার দোকানপাট আগেই ধ্বংস হয়ে গেছে। যে দুই-একটি আছে, সেগুলোও বন্ধ রয়েছে। ঈদুল আজহার অন্যতম বিষয় কোরবানি দেয়া। বেশ ধুমধাম করে কোরবানির আয়োজন করে থাকে গাজাবাসী। কিন্তু এবার কোরবানির পশু কেনার মতো সামর্থ্য তাদের নেই।
তবে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা কিছু পশু কোরবানি করে বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছে।
এবারের ঈদ ওইসব পরিবারের জন্য আরো কঠিন হয়ে পড়েছে যাদের পরিবারের সদস্য নিহত হয়েছে বা আহত হয়ে কাতরাচ্ছে। ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি গুরুতর আহত হয়েছে। তারা চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।
এছাড়া ইসরাইল আট হাজারের বেশি লোককে ধরে নিয়ে গেছে। তারা কোথায়, কিভাবে আছে, কেউ জানে না।
জাবালিয়া মসজিদের ইমাম ঈদের জামাতের খুতবায় বলেন, দখলদার বাহিনী গাজার মানুষের মনোভাব ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে। তারা দখলদারদের কঠোর আঘাত হানা অব্যাহত রাখবে। ইসরাইলি দখলদারিত্বের কারণে আমরা আমাদের ধর্মীয় অনুশাসনও পালন করতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে ৩৭ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। গাজার তিন-চতুর্থাংশের বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা এবং অন্যান্য