বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন ফায়দা নিতে না পারে সেজন্য দু’-একদিনের মধ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। আমরা কথাবার্তা বলেই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমরা কোথাও মজুতদারি করতে দেবো না। কোনো সুযোগ নিতে দেবো না।’
রোববার সচিবালয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও বাজার পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিপু মুনশি বলেন, ‘আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেখানে যেখানে অবৈধ মজুত করার প্রচেষ্টা করা হবে, সেখানেই আমরা হস্তক্ষেপ করবো। এমন না যে, আজকে দাম বাড়ার কারণে তারা দাম বাড়িয়েছে, আসলে তারা আগের হিসাব ধরে বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমরা সেটা বন্ধ করবো।’
তিনি বলেন, আমরা ক্রাইসিস মোকাবিলার জন্য টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি মানুষকে ছয়টি পণ্য দেয়ার চেষ্টা করছি। এর কমপক্ষে চারটি পণ্য গ্রামাঞ্চলেও পাঠাবো। সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ঢাকা শহরে ১৫ লাখ মানুষকে কিভাবে এ সেবা দেয়া যায় এবং সেটার যেন অপব্যবহার না হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
সয়াবিন তেলের দাম সহনীয় রাখতে সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নেবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নিত্যপণ্য মজুত করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে সর্বমহলের ক্রেতাদের সুবিধার্থে সব ধরনের নিত্যপণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করার বিষয়ে সভায় একমত পোষণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) কার্যক্রম আরো জোরালো করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো: আব্দুর রাজ্জাক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
সূত্র : বাসস