ম্যাচ তো হারতেই পারে বাংলাদেশ। কিন্তু হারেরও ধরণ থাকে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হার কোনোভাবেই মানতে পারছেন না। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগে একসঙ্গে ফ্লপ বাংলাদেশ।
মাত্র ১১৫ রানের পুঁজি নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের চিন্তা বড্ড বাড়াবাড়ি। তবুও মিরপুরের উইকেটে কিছু একটা আশা করা যায়। সেভাবেই বোলাররা আক্রমণেও গিয়েছিলেন। কিন্তু তিন ক্যাচ মিসে সব আশায় গুড়ে বালি!
শেষ ১০ টি-টোয়েন্টিতে নয়টিতেই হার বাংলাদেশের। কোথায় সমস্যা? টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং প্যানেল, ক্রিকেটার; ত্রয়ীর পরিকল্পনা কেন কাজে আসছে না? জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কাছে। তার কাছেও নেই উত্তর।
তবে আজকের ম্যাচ হারের জন্য ক্রিকেটারদের আলগা মনোভাবকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন। তার দাবি, ক্রিকেটাররা কেউ আজ ম্যাচেই ছিল না। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান বলেন,
‘পরিকল্পনায় ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। আপনাদের আমি এই জিনিসটা বোঝাতেই পারি না। কী পরিকল্পনা করবেন? আপনি লিটন দাসকে ওপেনিং থেকে বাদ দিতে পারবেন? প্রথম তিন থেকে সাকিবকে বাদ দিতে পারবেন? পারবেন না। মুশফিক, রিয়াদ? এগুলো গেল।’
‘আফিফ? পারবেন না। এরপর মেহেদী অথবা যাকে নেন…এক স্পিনার। আপনি চার বোলার নেবেন। তাহলে আপনার কাছে আছে দুটি জায়গা। ওই এক দুই তিনের মধ্যে একজন আর এদিকে সাত নম্বরে, কাকে খেলাবেন? এই দুইটা জায়গায় আপনি চিন্তা করতে পারেন।’
‘কিন্তু তাতে করে আপনার সবার ফিল্ডিং, ব্যাটিং, বোলিং ভালো হয়ে যাবে, এটা আশা করা ঠিক না। সবাইকে পারফর্ম করতে হবে। সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। ওই একটা-দুইটা খেলোয়াড়কে টার্গেট করে তো লাভ নেই। আমরা বাকি যাদের নিচ্ছি, তাদের তো পারফর্ম করতে হবে।’
‘আজ একটা খারাপ দিন গেছে। আজ যদি লিটন দাস গত ম্যাচের মতো কিছু রান করে যেত, কোনো অসুবিধা হতো না আমাদের। আজ যদি সাকিব রান করে যেতে পারতো, তাহলে কোনো সমস্যা হতো? হতো না। ১৩০-৪০ হলেও তো একটা ফাইট দেওয়া যেত।’
‘এরপরও হতে পারত। একদিন তো হারতেই পারি। তারপরও তিন-চারটা সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়া, এটা দেখতে খুব বাজে লাগে। হারা জেতা বড় কথা নয় এখানে। কিন্তু যে সমস্ত ক্যাচ ফেলেছে, তাতে করে মনেই হচ্ছিল না এরা খেলার মধ্যে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টকর।’
এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ খুব বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন টি-টোয়েন্টি খেলবে। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েতে খেলবে তিন টি-টোয়েন্টি। এই ছয় ম্যাচে কি সেরা কম্বিনেশন ঠিক করতে পারবে বাংলাদেশ?