দক্ষিণ আফ্রিকায় ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো তাদের মাটিতে তাদের হারিয়ে দেশকে উল্লাসে ভাসিয়েছে তামিম ইকবালের দল।
আর যাদের হাতে গড়া এই দল তাদেরতো কথাই নেই! তাইতো সেই জয়ের রোশনাই ছুঁয়েছে নির্বাচকদের। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, দল ভালো খেললে তারাও আত্মবিশ্বাস পান।
শনিবার (১৯ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে বাংলাদেশের জয়ের প্রতিক্রিয়ায় এই মন্তব্য করেন নান্নু।
‘দল ভালো খেললে আমাদের প্যানেল অবশ্যই আত্মবিশ্বাস পায়। গত দুই বছরে আমরা অনেক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। ওয়ানডে দলের একটা ভারসাম্য আছে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে এখনও পারিনি। টেস্টে নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে এসেছি।’
‘আস্তে আস্তে টি-টোয়েন্টি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জয় অবশ্যই মানসিকভাবে আমাদের বুস্ট আপ করেছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে অন্যান্য ফরম্যাটেও ভালো কিছু হবে’-আরও যোগ করেন নান্নু।
সেঞ্চুরিয়নে গতকাল টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে ২৭৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা। ৩৮ রানের জয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ।
প্রধান নির্বাচক জানান আন্ডারডগ হিসেবে সিরিজ শুরু করে এমন জয় বাংলাদেশকে সাহস যোগাবে আরও, ‘এই দলের অংশ হিসেবে অসম্ভব ভালো লাগছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন আমাদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। আমরা আন্ডারডগ হিসেবে শুরু করেছিলাম। এই পারফরম্যান্স আগামীতে আরও ভালো খেলার জন্য সাহস যোগাবে। পুরো দলের যে প্রচেষ্টা…দুর্দান্ত।’
প্রধান নির্বাচক হিসেবে নান্নুকে সমালোচনাও কম সইতে হয় না। দল খারাপ হলেও সবার আগেই তীর ছুঁড়ে যেতো তার দিকে। তবে ব্যক্তি নান্নু এই সমালোচনা গায়ে মাখেন না।
প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে কেউ সমালোচনা করে থাকলে এটা তো আমার দেখার বিষয় না। এখানে টিম ম্যানেজমেন্ট, নির্বাচক প্যানেল সবাই মিলেই দলটা তৈরি করে। সব কিছু একসাথে করি। ব্যক্তিগতভাবে কিছু করা হয় না।’
২০১১ সাল থেকে ছিলেন নির্বাচক প্যানেলে আছেন নান্নু। ২০১৬ সাল থেকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাঁচ বছর পর প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ পদত্যাগ করলে এই দায়িত্ব পান নান্নু। ২০১৯ সালে পুনরায় মেয়াদ বাড়ে। ২০২১ এর ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হলেও পুনরায় কাজ করে যাচ্ছেন। নান্নুর সঙ্গে বিসিবির নির্বাচক প্যানেলে এখন আছেন হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক।