হানিফ সংকেতের “ইত্যাদি”তে গায়ক তাহসানের সঙ্গে অটো টিউনে দ্বৈতকণ্ঠে অতিরিক্ত ভাইরাল গান “রঙে রঙে রঙিন হব” গেয়ে অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ ভাবছেন তিনি এই এক গানের বদৌলতে একদৌড়ে শাকিলা জাফর, ন্যান্সি, বেবী নাজনীনদের কাতারে পৌঁছে গেছেন। তাহসান হলেন তুমুল জনপ্রিয় একজন গায়ক। তার মত শিল্পীর সঙ্গে তাসনিয়া ফারিণের মত আনাড়ি শিল্পীকে কেন নির্বাচন করাটাই ভুল সিলেকশন ছিল।
যারা সঙ্গীত বোঝেন তারা গানটা প্রথম শুনেই বুঝে গিয়েছেন তাসনিয়ার পোর্শনটুকু ছিল সম্পূর্ণ অটো টিউনে। এই অটো টিউনের বদৌলতে সবাই ফারিণকে “দুর্দান্ত গায়িকা” বলে প্রশংসা করতে করতে মুখে ফেনা তুলেছে। আর তাদের মুখের ফেনাতেই তারা ডুবে গেছে। আমার কাছে তাহসানের পোর্শনটুকুই কেবল ভালো লেগেছে। তাহসানের মত শিল্পীর সঙ্গে ফারিণের ডুয়েট খুবই বেমানান ঠেকেছিল। তারপর সোশাল মিডিয়ায় যা দেখলাম তা দেখার পর খানিকটা নীরবতা অবলম্বন করলাম। মনে মনে হাসছিলাম এই ভেবে,খুব শীঘ্রই এইসব মুগ্ধ শ্রোতা দর্শকরা তাসনিয়া
ফারিণের অটো টিউনের গোমর ধরে ফেলবে। লন্ডনে ধরাটা খেলেন ফারিণ।
লন্ডনে দর্শকদের সামনে সরাসরি গানটি গাওয়ার কি দরকার ছিল তার? তিনি তো জানতেন তার গায়কীর সকল প্রতিভা অটো টিউন পর্যন্ত সীমিত। ঠিক তেমন যেমন মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। ফারিণ তার নির্বুদ্ধিতার জন্য আজ ভার্চুয়াল জগতে তিনি ট্রলড হচ্ছেন। আগেই তার বলে নেয়া উচিত ছিল তিনি অটো টিউন ব্যবহার করেছেন। এই গানটির টুয়েন্টি মিলিয়ন ভিউজ দেখে ফারিণের মাথা ভোঁভোঁ করে ঘুরছে।
তিনি ধরে নিয়েছেন কুড়ি মিলিয়ন ভিউজ শুধু তার একার অর্জিত। তাহলে কি তাহসানের ভক্তরা গোল্লায় যাবে?লন্ডনের স্টেজে লাইভে তার বিচিত্র গায়কী দেখে মানুষ হতাশ হয়েছে। আপনারা অনেকে হয়ত বলতে পারেন ফারিণ প্রফেশনাল গায়িকা নন। তিনি যা করেছেন ঢের ভালো করেছেন। এটা যদি উচিত হয় তাহলে মানুষের এভাবে রিঅ্যাক্ট করাও শতভাগ উচিত কাজ হয়েছে।।।
মিলি সুলতানার ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া।