তাবলিগের ১৫ জনকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে টাকা লুট

ভোলার ভেদুরিয়ার একটি মসজিদে তাবলিগ জামায়াতে আসা (চিল্লায়) ১৫ জনকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুইজনের জ্ঞান ফিরলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৩ জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জ্ঞান ফিরে আসা ২ জন জানিয়েছেন, তাবলিগ জামায়াতের ১৫ সদস্যের একটি দল বুধবার ঢাকার টঙ্গী থেকে ভোলায় মারকাজ মসজিদে আসেন। সেখান থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ফজলুর রহমান মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে পাঠানো হয়। ওইদিন (বৃহস্পতিবার) রাতে খাবার খেয়ে সবাই একযোগে ঘুমিয়ে পড়েন। ওই খাবারের সঙ্গেই নেশাজাতীয় কিছু মেশানো ছিল বলে ধারনা করা হয়।

শুক্রবার ফরজ নামাজ পড়তে এসে মসজিদের-ইমাম মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লিরা তাদের অচেতন অবস্থায় পান। পরে তাদের ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে দুর্বৃত্তরা এদের কাছে থাকা সব টাকা-পয়সা লুটে নিলেও মোবাইল বা অন্য কোনো মালামাল নেয়নি। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারে নেশা মেশানো হয়েছে বলে স্থানীয়রা ধারনা করছেন। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, খাবারের পরই সবাই আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়েন। যে দুজন সুস্থ আছেন তারা রাতের খাবার খুবই কম খেয়েছেন। সে কারণে তারা পুরোপুরি অচেতন হননি।

তাবলিগ জামায়াতে আসা ১৫ জন হলেন- মো. আনছানার আলী (৭৫), আরিফ মাওলানা (৩৫), বাবুল হক (৫৫), মোখলেছ (৭৭), সাইদুর রহমান (৫৬), মেহেরব আলী (৬০), আক্কাস আলী (৪৫), মোফাজ্জল হোসেন (৪৫), আক্কাস আলী (৬০), বাবুল (৬০), আবু বকর সিদ্দিক (৫০), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), মো. জালাল হোসেন (২৫), আবদুল কাদের (৪০), মুফতি আমিনুল ইসলাম (২৫)।

এদের মধ্যে দিনাজপুর জেলার ১১ জন, ফরিদপুরের দুইজন, কুমিল্লার একজন ও বগুড়ার এতজন। তারা সবাই তাবলিগ জামায়াতের মুরব্বি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী বলে জানা গেছে।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার নিশি পাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ