টিসিবির ন্যায্যমূল্যের ট্রাকের সামনে দীর্ঘ লাইনে জনগণকে আর বেশিদিন রাখা যাবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকের অন্যায্য সরকারের ন্যায্যমূল্যের ট্রাকের সামনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে মানুষ। কারণ ক্ষুধায় লজ্জা টিকে না। সেই কারণে দেখা যায়, পোশাক-পরিচ্ছেদ ভালো অথচ লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এই লাইন ছোট নয়, লাইনটা অনেকটা বড় হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এই লাইনে বেশিদিন জনগণকে আর রাখা যাবে না। আজকে ক্ষুধা নিবারণের একটি মাত্র পথ এই সরকারে পতন। আইনের শাসন ও ঘুস-দুর্নীতি বন্ধ করার একটি মাত্র পথ এই সরকারের পতন।
ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম জাকির, মামুন খান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ। পরে স্বল্প আয়ের রিকশাওয়ালা, ভ্যান শ্রমিক, গরিব-দুস্থ মানুষজন লাইনে দাঁড়িয়ে ছাত্রদলের এই নিত্যপণ্য সামগ্রী নেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, লম্বা লাইনের এই চিত্র দেখে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝানোর প্রয়োজন নেই যে, বাংলাদেশে অভাব নেই, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষজন কী নিদারুণ কষ্টে আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। চাল, ডাল, ভোজ্যতেল থেকে শুরু করে সবকিছুই বাড়ছে। তাই বলতে চাই, এই সরকার যাওয়ার সময় হয়েছে। তাদের চলে যাওয়া অনিবার্য। এই পতনকে নিশ্চিত করতে হবে এই ছাত্রসমাজকে। কারণ অতীতে এই ছাত্রসমাজ অনেক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, অনেক বিপ্লব করেছে এবং দেশের মানচিত্র তারা একসময়ে এনেছে। এই ছাত্রসমাজের এই গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আপনাদের এগোতে হবে।
তিনি বলেন, দুস্থদের মাঝে পণ্যসামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে আমরা যেন ভুলে না যাই, যারা মানুষকে গরিব করেছে, দুস্থ করেছে- তাদেরকে আক্রমণ করতে হবে। তাদেরকে হটাতে হবে, তাদের বিচার করতে হবে।