আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৫ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নূর এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে আসামিদের হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন সিকদার।
এর আগে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে থাকা দামালকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আর্জি জানিয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফরুক (৫২), শুটার সালেহ খ্যাত আবু সালেহ সিকদার (৩৮), নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির (৩৮), মোরশেদুল আলম ওরফে কাইলা পলাশ (৫১) এবং আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান ওরফে দামাল (৪৫)।
রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনপত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। অস্ত্র উদ্ধার এবং অন্যদের গ্রেফতারে সারা দেশে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ক্লু উদঘাটনে তাদের রিমান্ড নেওয়া দরকার।
গত ২৪ মার্চ রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে জাহিদুল ইসলাম টিপু মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন ২৫ মার্চ দুপুরে শাহজাহানপুর থানায় নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।