রাজধানীর মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালানোর পর ফেসবুকে টিপু ও সামিয়া আফরান জামাল প্রীতির মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারে শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ।
রোববার বগুড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মাসুমকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম এ কথা জানান। গ্রেফতার মাসুম চাঁদপুরের মতলব থানার বাইশকানি গ্রামের মো. মোবারক হোসেনের ছেলে। তবে সে রাজধানীর সবুজবাগ থানার পশ্চিম মাদারটেক ৬০/১৫ নম্বর বাসায় থাকত।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
আসামির বরাত দিয়ে তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুম ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ বুধবার মো. জাহিদুল ইসলাম টিপুকে তার রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় যাওয়ার রাস্তা অনুসরণ করে গুলি করার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু বেশি লোকজন থাকায় সে ব্যর্থ হয়।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় গ্রেফতার মাসুমকে জানায়, টিপু তার অফিসে (রেস্টুরেন্ট) অবস্থান করছে। এই সংবাদ পেয়ে গ্রেফতার মাসুম দ্রুত জাহিদুল ইসলাম টিপুর রেস্টুরেন্টের কাছ থেকে টিপুকে অনুসরণ করে গুলি করার জন্য প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু টিপু অনেক লোকজনের মধ্যে থাকায় গুলি করতে না পেরে টিপুর গাড়ি অনুসরণ করতে থাকে।
টিপুর গাড়ি শাহজাহানপুর রেললাইনের আগে আমতলাসংলগ্ন রাস্তায় গাড়ি যানজটে আটকা পড়লে শুটার গাড়ির ড্রাইভারের পাশের আসনে বসা টিপুকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময় তার দুই বন্ধুর সহযোগিতায় নিরাপদ স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে সে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিরাপরাধ রিকশারোহী প্রীতি এবং টিপুর মৃত্যুর সংবাদ দেখতে পায়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতার মাসুমের নামে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।