টাঙ্গাইলে মসজিদের ইমামকে উপহার বক্সে কাফনের কাপড় ও চিরকুট পাঠিয়ে হত্যার হুমকি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া বাজার কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মো: ওসমান গণিকে উপহার বক্সে কাফনের কাপড় ও হত্যার হুমকি দিয়ে চিরকুট দেয়া হয়েছে।

ওসমান গণি (৫৮) মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবত নারান্দিয়া নূরুল উলুম নিজামিয়া মাদরাসার মোহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এই হুমকির ঘটনায় ওসমান গণি কালিহাতী থানায় জিডি করেছেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মেহাবী গ্রামে। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। তবে কে বা কারা এভাবে মসজিদের ইমামকে হুমকি দিয়েছে তা এখনি ধারণা করতে পারছেন না কেউ। ইতোমধ্যে এ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

থানায় দাখিল করা জিডি থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ সকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নারান্দিয়া মাদরাসার সালমান (৬) নামে এক ছাত্রের কাছে ওসমান গণির জন্য একটি উপহার বক্স পাঠান। বক্সটি খুলে দেখা গেছে ভেতরে কাফনের কাপড় আর হত্যার হুমকি দেয়া একটি চিরকুরট। চিরকুটে তাকে এই রমজানের আগেই মসজিদ ও মাদরাসা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। অন্যথায় জীবন কেড়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে তাকে।
ওসমান গণিকে উদ্দেশ্য করে ওই চিরকুটে লেখা হয়েছে, ‘উসমান সাহেব, অনেক দিন ধরে মাদরাসা আর মসজিদ লুটে পুটে খাইসিস। আর নয় এখন সম্মান নিয়া রমযানের আগেই সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাবি। আর না হয় জীবন দিবি। না হলে অপদস্ত করে বিদায় করবো। দেখতেই তো আছিস……….।’

গত ২১ মার্চ উসমান গণি তার এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কালিহাতী থানায় জিডি করেন। ঘটনাটি কদিন আগের হলেও জানাজানি হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ)।

ওসমান গণি বলেন, গত ১৯ মার্চ সকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি আমার নারান্দিয়া মাদরাসার সালমান নামের এক ছাত্রের কাছে আমার জন্য একটি উপহার বক্স রেখে যান। বক্সটি খুলে আমি দেখতে পাই ভেতরে কাফনের কাপড় আর হত্যার হুমকি দিয়ে লেখা একটি চিঠি।

এ বিষয়ে ২১ মার্চ আমি কালিহাতী থানায় জিডি করেছি। এরপর থেকে আমি নিরাপত্তাহীন ভুগছি।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ