ওপেনার লিটন পেলেন ফিফটির দেখা। অল্পের জন্য পারলেন না তামিম। তবে লিটনের দেখানো পথে হাটলেন সাকিব ও ইয়াসির আলী। পেলেন দু’জনই ফিফটি। সাকিবের ৫০তম ফিফটি, রাব্বির প্রথম। সব মিলিয়ে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ৩১৪ রান করেছে বাংলাদেশ।
জিততে হলে প্রোটিয়াদের করতে হবে ৩১৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আগেরটি ছিল ওভালে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এটি সর্বোচ্চ রান বাংলাদেশের। আগেরটি ছিল ২৭৮ রান, ২০১৭ সালে কিম্বারলিতে।
আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ধীর গতিতে হলেও দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৫ রান।
পেহলুকাওয়ের বলে এলবির শিকার হন তামিম ইকবাল। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায় বল আঘাত হানত স্টাম্পের মাঝ বরাবর। ৬৭ বলে ৪১ রান করে ফেরেন তামিম। তার ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছক্কা। তিনে নামা সাকিব প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাকান। অপর প্রান্তে থাকা লিটন দাস তখন ফিফটির অপেক্ষায়। এক সময় পেয়েও যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। ৬৬ বলে ৫০ স্পর্শ করেন তিনি। পরের বলেই আউট হন। মাহারাজের স্পিন ঘূর্ণি বুঝতে পারেননি লিটন। হয়ে যান বোল্ড। তার ইনিংসে ছিল পাচটি চার ও একটি ছক্কা। ১০৪ রানে বাংলাদেশ তখন দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছে।
এরপর অবশ্য টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। ১২ বলে মাত্র ৯ রান করে তিনি বিদায় নেন মাহারেজের বলে মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর সাকিব ও তরুণ ইয়াসির আলী গড়ে তোলেন দারুণ জুটি। সাবলিল গতিতে ব্যাট করেছেন দু’জন। ফলে দু’জনই পান ফিফটির দেখা। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে বিদায় নেন সাকিব। এনগিডির বলে তিনি এলবির শিকার হন। ৬৪ বলের ইনিংসে তিনি হাকান সাতটি চার ও তিন ছক্কা। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৫০তম ফিফটি।
এর কিছুক্ষণ পর বিদায় নেন ইয়াসির আলী। তবে তিনি দেখা পান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। ৪৪ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৫০ করে ফেরেন তিনি। রাবাদার বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন।
শেষের দিকে মাহমুদুল্লাহ ২৫, আফিফ হোসেন ১৭ রান করেন। মেহেদী মিরাজ ১৩ বলে দুই ছক্কায় ১৯ রানে থাকেন অপরাজিত। ৫ বলে সাত রানে নট আউট তাসকিন আহমেদ। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মাহারাজ ও জানসেন।