জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে দুই দিন পিছিয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ সই অনুষ্ঠান। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে আগামী ১৭ অক্টোবর (শুক্রবার) ছুটির দিনে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান হবে।
আজ শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকার প্রধানের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল, জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান হবে ১৫ অক্টোবর। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, এখনও কিছু কাজ বাকি থাকায় স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
বড় আয়োজনে জুলাই সনদ সই অনুষ্ঠান করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সংলাপে অংশ নেওয়া ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোট এই সনদে সই করার কথা রয়েছে। সনদে সংস্কারের ৮৫টি সিদ্ধান্ত থাকছে। সনদ সইয়ের পর হবে গণভোট। যদিও সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং গণভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ রয়েছে।
বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ গঠনসহ ৯টি সংস্কারে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিয়েছে। দলটির অবস্থান হলো- নির্বাচনের দিনে গণভোট হবে। গণভোট হবে নোট অব ডিসেন্টসহ। আগামী নির্বাচনে জয়ী দল, নোট অব ডিসেন্টসহ সংস্কার করতে পারে।
জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল পুরো সনদের ওপর গণভোট চায়। তাদের অবস্থান হলো- দলের নোট অব ডিসেন্টের তুলনায় জনগণের রায় ঊর্ধ্বে। সনদ অনুমোদনে আগামী নভেম্বরে গণভোট হতে হবে। সনদ অনুযায়ী হবে সংসদ নির্বাচন।
কমিশন সূত্র জানিয়েছে, এসব মতবিরোধ দূর করে সমঝোতার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করছি এবং এটি রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে হবে। তাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হবে। সেই কারণেই শুক্রবার পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সমকালকে বলেছেন, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছানো হয়েছে। ছুটির দিনে বড় আয়োজনে উৎসব করে সনদ সই হবে। জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে এতে।
যমুনার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এছাড়া বিভিন্ন শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।