বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে নানা অভিযোগে ডুবে আছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
ভোট কেনা, নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এমনকি হত্যা মামলার অভিযোগও ওঠে।
এবার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে জমি ও স্থাপনা দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার জায়েদ খানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে নিজ জেলা পিরোজপুরে জমি ও ক্লিনিক দখল করেন জায়েদ খান, এমন দাবি মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ভুক্তভোগীদের।
মানববন্ধের ব্যানারে জায়েদ খানকে ভূমিদস্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি জমি দখলে এ চিত্রনায়কের দুই ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টু জড়িত বলে দাবি করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক অভিযোগকারী জানায়, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত ২টার সময় ৫ তলা ভবনের ৫ম তলায় কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে জায়েদ খান গীতা রানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা জোর করে টাকাপয়সা ও ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যান। এসব লুট করার আগে জায়েদ খান গীতা রানীদের মারধর করেন এবং তার স্বামীকে পিটিয়ে ঝিনাইদাহ জেলার রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে চলে যান।
এ বিষয়ে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ একটি এজাহার করেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই জায়েদ খান তার পাঁচতলা বাড়ির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। বর্তমানে তারা ওই বাড়িতে থাকতে পারছেন না বলেও জানান সেই অভিযোগকারী।
ওই অভিযোগকারী বলেন, বর্তমানে আমরা ঢাকায় অবস্থান করছি। এ বিষয়ে গত ৬ জুন ২০১৮ সালে করা একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা নম্বর ০৯, ১৮৫/১৮। আমরা ভুক্তভোগী পরিবার ভূমিদস্যু জায়েদ খান ও তার গংয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।