দেশে এখন মোট ভোটার ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন। আর নারী ভোটার ৬ কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ১ হাজার ২৩৪ জন।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে এই তথ্য জানান। এই ভোটার তালিকায়ই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইসি সচিব জানান, নতুন প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকায় যারা ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন, তারাও অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর ফলে তারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পারবেন।
তিনি বলেন, গত ২ মার্চ সম্পূরক ভোটার তালিকায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজর ২৭৪। ২ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে নারী ভোটার বৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং পুরুষ ভোটার বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ২৯ শতাংশ।
আখতার আহমেদ জানান, নির্ধারিত সময়ে কোনও দাবি আপত্তি না আসায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী)- এই দু’টি দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কিছু আপত্তি আসায় বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে এখনও নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। দলটির বিষয়ে আসা আপত্তিগুলো পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ১৪৩টি দল এবার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। ১২১টি দলকে নামঞ্জুর করেছি। শেষমেশ দাবি-আপত্তি আহ্বান করে এনসিপি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ (মার্কসবাদী) ও আম জনগণ পার্টি – এই তিনটা দল নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম। এর ধারাবাহিকতায় কিছু আপত্তি পেয়েছি আম জনগণ পার্টির বিষয়ে। তাই সিদ্ধান্ত-বাকি দুই দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।
আখতার আহমেদ জানান, এছাড়া বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, গণতান্ত্রিক পার্টি, জাসদ-শাহজাহান সিরাজ, জাতীয় জনতা পার্টি, জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, আমজনতার দল ও জনতার দল- এই সাতটি দলের তথ্য পুনর্বিবেচনায় আনা হয়েছে। এদের বিষয়ে তদন্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট আয়োজনের জন্য সরকারের কাছ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পায়নি নির্বাচন কমিশন।