মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এর দায়ভার কোনোভাবেই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বহন করবে না। দলের নীতি ও শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক আপনাকে বহিষ্কার করা হলো।’
গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটায় রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। ঘটনাস্থলে একজন নিরীহ কলেজ ছাত্রী নিহত হয়।
নিহত টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা এবং বিশেষ করে একজন কলেজ ছাত্রীর নিহত হওয়ায় দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
র্যাবের ব্যাপক তদন্ত এবং গোয়েন্দাদের নজরদারিতে গ্রেফতার হন এ হত্যাকাণ্ডের শুটার মাসুম। এরপর গ্রেফতার হন হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ওমর ফারুক (৫২) আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালে (৩৮), মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির (৩৮) ও মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্যা পলাশ (৫১)।
তাদের গ্রেফতারের পর শনিবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। সেখানে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, আসামিরা র্যাবকে জানিয়েছেন- তারা হত্যাকারী ও সহযোগীকে চেনেন না। খুনি ভাড়া করা থেকে শুরু করে এই হত্যাকাণ্ডের সব পরিকল্পনার সমন্বয়কারী হলেন মুসা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত কর্মকর্তাদের তারা জানায়, টিপুকে হত্যার জন্য ১৫ লাখ টাকা বাজেট করেন তারা। আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন মুসার তত্ত্বাবধানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দুবাই থেকে এ কিলিং মিশন পরিচালনা করেন তিনি।ওমর ফারুক টিপু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী। আন্ডারওয়ার্ল্ডের মুসার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও অর্থ লেনদেন করেন ওমর ফারুক।