জয়ের বিকল্প নেই বেলজিয়ামের। জিততে হলে গোল করতেই হবে। আগ্রাসী ফুটবলেই সেই কাজটা করতে চায় কেভিন ডি ব্রুইনরা। তাইতো ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে মুহুমুর্হু আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। ক্রোয়েশিয়াও ছেড়ে দেওয়ার দল নয়। লুকা মড্রিচের নেতৃত্বে পেরিসিচরাও আক্রমণে।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডি বক্সের ভেতরে ক্রামাচিচকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। রেফারি পেনাল্টি দিলেও ভিএআরের সহায়তায় তা বাতিল হয়। স্পটকিক নেওয়ার সময় ক্রোশিয়ার ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকায় পেনাল্টি বাতিল করা হয়। মড্রিচ রেফারির ওপর ক্ষোভ ঝারলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।
ম্যাচের ২৫ মিনিট পেরিয়ে গেলেও এখনও গোল পায়নি কোনো দল।
কার মুখে ফুটবে হাসি?
বিশ্বের দুই নম্বর র্যাংকিংধারী দল বেলজিয়াম কি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিতে পারবে? নাকি এক পয়েন্টের অপেক্ষায় থাকা ক্রোয়েশিয়া পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে যাবে শেষ ষোলোতে। উত্তর পাওয়া যাবে আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে। কিছুক্ষণের ভেতরেই।
২০১৮ বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়া। রাশিয়ায় নিজেদের সেরা বিশ্বকাপ কাটিয়েছিল বেলজিয়ামও। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তৃতীয় হয়েছিল দলটি। অথচ চার বছরের ব্যবধানে দুই দলই পায়ের নিচে মাটি খুঁজে বেড়াচ্ছে। ক্রোয়েশিয়ার অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও বেলজিয়াম নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। প্রত্যাশিত ফল না পেলে আজই বিদায়ঘণ্টা বেজে যেতে পারে এই দুই দলের যেকোনো একটির।
‘এফ’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে কানাডার মুখোমুখি হবে মরক্কো। এই ম্যাচ ড্র করলেই তিন যুগ পর বিশ্বকাপের নক আউটে খেলবে আফ্রিকার দেশটি।
হেড টু হেড
২০০০ সালে প্রথমবার দুই দলের দেখা হয়, আটবার খেললেও ক্রোয়েশিয়া ও বেলজিয়াম এই প্রথমবার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান দুই দলই সমান। তিনটি করে জিতেছে ও হেরেছে। ড্র বাকি দুটি। শেষবার গত বছর জুনে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে ক্রোটদের হারায় বেলজিয়াম।