ব্রাজিল ফুটবলের একটি ঐতিহ্য হলো, বিদেশিদের কোচ বানায় না তারা। তবে পেপ গার্দিওলার কারণে দীর্ঘদিনের এই রীতি ভাঙতে পারে সেলেসাওরা। স্প্যানিশ কোচকে ভেড়াতে ১ কোটি ২০ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১২ কোটি টাকা) দিতে প্রস্তুত ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খবরটি নিশ্চিত করেছে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কার প্রতিবেদক মারিও কোর্তেগানা।
লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ব্রাজিল কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সবার আগে। বিশ্বকাপের পর নেইমার-ভিনিসিউসদের দায়িত্ব ছাড়বেন তিতে। এরপরই সেলেসাওদের দায়িত্ব দেয়া হবে নতুন গুরুর কাঁধে।
গার্দিওলা-ব্রাজিলের মেলবন্ধনে বাঁধা হতে পারে বেতন। সিবিএফের প্রস্তাবিত বেতনের চেয়ে বেশি অর্থ গার্দিওলাকে দেয় ম্যানচেস্টার সিটি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবটিতে করপরবর্তী ২ কোটি ইউরো পেয়ে থাকেন গার্দিওলা। তবে ২০২৩ সালে সিটিজেনদের সঙ্গে পেপের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আশার আলো দেখতে পারে সিবিএফ। তাছাড়া গার্দিওলার ভাই ও প্রতিনিধি পেরে গার্দিওলার সঙ্গে এ নিয়ে বেতন নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করেছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন। খবর মার্কার।
তবে গোল ডট কমের দাবি, গার্দিওলার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আলোচনার টেবিলে বসেনি সিবিএফ।
২০১৬ সালে ম্যানচেস্টার সিটির দায়িত্ব নেন গার্দিওলা। এরপর তিনি সিটিজেনদের কোচ হিসেবে ৩টি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা, এফএ কাপ, লীগ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ডের ট্রফি জিতেছেন। গত আগস্টে ইএসপিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লাব কোচিং ছেড়ে লাতিন আমেরিকার কোনো দলের দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন গার্দিওলা। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার পরবর্তী লক্ষ্য কোনো জাতীয় দল। সাত বছর এই দলে (সিটি) থাকার পর একটু বিরতি নেবো। এরপর আমি কোনো দেশকে কোচিং করাতে চাই। সেটা খুব সম্ভবত কোপা আমেরিকা কিংবা ইউরো খেলে এমন কোনো দল হতে পারে।’ তবে গার্দিওলার আরেক বক্তব্যে ব্রাজিল সমর্থকরা হতাশই হবেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ব্রাজিলে খুব ভালো ব্রাজিলিয়ান কোচেরাই আছেন যারা জতীয় দলের দায়িত্ব নিতে পারেন। তারা খুব ভালো কোচ। আলোচনা এখানেই শেষ।’