অটোরিকশায় চেপে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বন্ধু। হঠাৎ অস্ত্রধারী কয়েকজন এসে তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে শিক্ষক এনামুল হকের মাথায় ধরে। সন্ত্রাসীরা এনামুলের কাছে জানতে চায়, ‘কোথায় গুলি করব, পায়ে, বুকে না মাথায়?’ সন্ত্রাসীরা বলে, ‘তোদের কাছে যা আছে দিয়ে দে, নইলে গুলি করে মারব।’
একপর্যায়ে তিন বন্ধুকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে রাস্তায়। পরে তাদের কাছে থাকা ৯৫ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নের কোষাদিয়া এলাকায় শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাবেক ছাত্রদল নেতা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও বরমীর পাঠানটেক গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে বরমী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক ও বন্ধু আল আমীনকে নিয়ে সোহেল সরকার তাঁর শ্বশুরবাড়ি মাইজপাড়া যাচ্ছিলেন। কোষাদিয়া আশা ব্যাংকের সামনে পৌঁছলে একই এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাসেল শেখের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী তাদের গাড়ি আটকায়। একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে তাদের পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আটজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন সোহেল সরকার।
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রাসেল শেখ, তারিফসহ অধিকাংশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অর্ধডজন করে মামলা আছে।
আত্মগোপনে থাকায় অভিযুক্ত রাসেল শেখ ও তারিফের বক্তব্য জানতে পারেনি সমকাল।