কেউ বেঁচে নেই, নিশ্চিত করল চীন

চীনের গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গত সোমবার বিধ্বস্ত হয় চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান।
১২৩ যাত্রী ও ৯ জন ক্রু নিয়ে ইউনান প্রদেশের কুনমিং শহর থেকে উড্ডয়ন করে বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি (ফ্লাইট এমইউ-৫৭৩৫) গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।

পাঁচদিন পর চীনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এ বিমানের কেউ আর বেঁচে নেই। দুর্ঘটনায় সবাই নিহত হয়েছেন।

চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার উপ-পরিচালক হু জেনজিয়াং শনিবার চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে হু জেনজিয়াং জানান, দুর্ঘটনায় নিহত ১২০ জনের ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন তারা।

এদিকে দুর্ঘটনার পরই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঘটনার তদন্তসহ আরোহীদের উদ্ধারে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানের কোনো আরোহীর আর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই, ওই সময়ই বিষয়টি জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিল তারা।

দুর্ঘটনার পর চীনের বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থা জানায়, এমইউ-৫৭৩৫ ফ্লাইটটি সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় কুনমিং থেকে গুয়ানঝোউর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এর পর ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ বিমানটির অবস্থান ‘অজ্ঞাত’ দেখায়। পরে গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

ফ্লাইট ট্রাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র সোয়া দুই মিনিটে ২৯ হাজার একশ ফুট থেকে ৯ হাজার ৭৫ ফুট নিচে নেমে আসে। এর পরের ২০ সেকেন্ডে আরও নিচে নামে। তিন হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতা থেকে বিমানটির তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়।

সাধারণত ওই উচ্চতা থেকে নামতে একটি বিমানের সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো।

সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট, টাইমস অব ইন্ডিয়া

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ