কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে পেয়ার উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার ঘাতক পুত্র আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ই এপ্রিল) দুপুরে আব্দুল জলিলকে কুড়িগ্রাম আদালতে নেয়ার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরির্দশক অনিল কুমার রায় জানান, সোমবার (৪ঠা এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখা কামারপাড়া গ্রামে জনৈক নজরুল ইসলামের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি বাড়ি থেকে ২শ’ গজ দূরে একটি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার জানান, সোমবার (৪ঠা এপ্রিল) নিহত পেয়ার উদ্দিনের ময়না তদন্ত রংপুর কোতোয়ালি থানায় সম্পন্ন করার পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টায় সেলিম নগর জামে মসজিদে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। নিহতের স্ত্রী রবিবার যে এজাহারটি করেছেন তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (৩রা এপ্রিল) সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জেরে পিতা পয়ার উদ্দিনের উপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পুত্র আব্দুল জলিল। এসময় মা জুলেখা খাতুন এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় পেয়ার উদ্দিনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সোমবার (৪ঠা এপ্রিল) দুপুরে মারা যান পেয়ার উদ্দিন। আব্দুল জলিলের তিনটি বিয়ে এবং তৃতীয় স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে যৌতুক ও নির্যাতন মামলা করার পর পিতার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল জলিল। এনিয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে পিতাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী জুলেখা খাতুন ছেলেকে আসামি করে রাজারহাট থানায় রবিবার (৩ এপ্রিল) একটি এজাহার দায়ের করেন।
