জাতিসঙ্ঘের সাহায্যদাতা সংস্থাগুলো ইউক্রেনের জনগণের সহায়তায় সেখানে মানবিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে; রাশিয়া সে দেশটিতে আক্রমণ শুরু করার পর জনগণের জীবন সেখানে বিপন্ন।
রুশ আক্রমণাত্মক অভিযান দেশটিকে বিপর্যস্ত করেছে। সেখানকার জনগণের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ও চাহিদার অগ্রাধিকার নির্ণয় করতে এবং অস্বাভাবিক অনিশ্চয়তায় পড়া লাখ লাখ জনগণের সহায়তায় কি করা প্রয়োজন তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাহায্যদাতা সংস্থাগুলো।
প্রাথমিক সমীক্ষায় হতাহতের সংখ্যা ভয়ঙ্কর বলে জানানো হয়। জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকবর দফতর বলছে ২৪ ফেব্রুয়ারি নাগাদ বেসামরিকভাবে ২৫ জন নিহত এবং ১০২ জন আহতসহ ১২৭ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সরকার নিয়ন্ত্রিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে বেশি হতাহতের খবর পাওয়া যায়।
জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থা বা ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্রী সাবিয়া মন্টু বলেন, অভিযান শুরু হওয়ার পর দেশজুড়ে এবং সীমান্ত পারাপার এলাকায় উল্লেখযোগ্য হারে লোকের বাস্ত্যুচুতি ঘটেছে ও চলাচল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
.
রুশ অভিযানের সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি জারনো হাবিছট ইউক্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। ইউক্রেনের আকাশ বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ করা হলে স্পেনে তিনি আটকা পড়েন।
তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তিন বছর বসবাস করেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে সারা দেশজুড়ে ইউক্রেনের জনগণের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কুশলাদি বিষয়ে তিনি উদ্বিঘ্ন।
তিনি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মীরা সেখানে কোভিড টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করছিলেন। দেশটি সাম্প্রতিক সময়ে পোলিও’র প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনে এবং স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার গতি পাচ্ছিল।
সঙ্কটে সাড়া দিয়ে ডাব্লিউএইচও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয় ও সরবরাহ করার জন্য জরুরি অর্থ সাহায্য বাবদ ৩৫ লাখ ডলার প্রদান করে।
এছাড়াও জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ কেন্দ্রীয় জরুরি সহায়তা অর্থ বাবদ ২ কোটি ডলার বরাদ্দ করেন।
এ বছরের শুরুতে জাতিসঙ্ঘ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সরকারি ও বেসরকারি এলাকার ১৮ লাখ লোকের জন্য ১৯ কোটি ডলার সাহায্যের আবেদন জানায়।