আট বিভাগে আধুনিক ক্যান্সার-কিডনি হাসপাতাল হচ্ছে

দেশে কিডনি বিকল রোগের ভয়াবহতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফলে এখনই রোগটির বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২ উপলক্ষে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে করোনায় দিনে ২০ জন মানুষ মারা গেলে আমরা কত চিন্তায় থাকি। অথচ কিডনি বিকল হয়ে দিনে ৭০ থেকে ৮০ জন মানুষ মারা যাচ্ছে। ক্যান্সারে দিনে দুই থেকে তিনশ মানুষ মারা যাচ্ছে। সেগুলি নিয়ে আমরা খুব বেশি সচেতন থাকিনা।’

কিডনি রোগীর সংখ্যা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন প্রায় ২ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে রোগটির চিকিৎসায় আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় আলাদা করে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ও ১০ বেডের আইসিইউ বেড করার কাজ হাতে নিয়েছি। আট বিভাগে ৮টি আধুনিক ক্যান্সার, কিডনি চিকিৎসা হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এগুলো হলে মানুষ নিজ নিজ এলাকাতেই এসব জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা বিনামূল্যে নিতে পারবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডোনার সংকটের কারণে এখনো ক্যাডেভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট তথা মরণোত্তর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না। মানুষ সচেতন না। এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। অনেকেই মরণোত্তর কিডনি দানে প্রতিশ্রুতি থাকলেও স্বজনদের আবেগের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে ১৯৯৯ সালে দেশে একটি আইন প্রণয়ন হয়। ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়। এর মাধ্যমে অঙ্গদানের সুযোগের পরিধি বাড়লেও মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিডনি বিকল হওয়া ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ জানে না তারা কিডনি রোগে ভুগছেন। অথচ বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল এবং কিছু সংকট রয়েছে। আরও জনবল ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ