অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীরা লুজার (ক্ষতিগ্রস্ত) হবেন না। সবাই জিতবে। ব্যবসায়ীদের আরও সহায়তা ও সুবিধা দেওয়া হবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ হচ্ছে।
বুধবার সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে গম আমদানিসহ ১১টি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ৭ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা।
এ সময় কুইক রেন্টাল বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে বিদ্যুৎ পাই বা না পাই আমাদের মূল্য পরিশোধ করতে হতো। আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলেও সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী এক বছরের মধ্যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব। যখন আমরা নতুন করে এই বিদ্যুৎ পাব তখন এগুলোকে (কুইক রেন্টাল) বিলুপ্ত করতে পারব। কুইক রেন্টাল আগের চেয়ে এখন ভিন্ন। কারণ এগুলোতে যতটুকু ব্যবহার করব তার মূল্যই দিতে হবে, আগের মতো নয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলোর (কুইক রেন্টাল) মেয়াদ বাড়িয়েছি বুঝে শুনেই আগামী দুই বছরের জন্য। আমরা একসময় নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারব। আমরা আজ কুইক রেন্টালের প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি একটি শর্তে, নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট।
মন্ত্রী আরও বলেন, যে প্রকল্পে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে সেখানে সরকার সুযোগ-সুবিধা বেশি দিবে।
মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত শৃঙ্খলা ও দক্ষিণ এশিয়া মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারবে সেখানেও বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে সিপিডির মূল্যায়ন প্রসঙ্গ আসলে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন দেশে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল- ওই সময় ডলারের মূল্য কমাতে পরামর্শ দিয়েছে এই সংস্থাটি। তাদের পরামর্শ গ্রহণ করলে আজ আপনারা কোথায় থাকতেন ভেবে দেখুন। সিপিডি শুধু দেশের অর্থনীতি বুঝে, অন্য কেউ বুঝে না এটি ভাবা ঠিক নয়। তবে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে এ সংস্থার ভূমিকা আছে।