আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ওয়ান ইলেভেনের মতো অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ওয়ান ইলেভেন আমরা ভুলি নাই। আবারও অস্বাভাবিক সরকার আনার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই অস্বাভাবিক সরকার বাংলার মাটিতে আমরা হতে দেব না।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ দেশে-বিদেশে কত ষড়যন্ত্র, কত চক্রান্তের খেলা! তারা জানে, এই দেশে ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তাকে হারাতে পারবে না। সেজন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ করতে চাইছে।
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা। অন্তর জ্বালায় জ্বলছে বিএনপি। জ্বলছে তারেক জিয়া। কী করে হলো পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল; তাদের অন্তর্জ্বালা তো থাকবে। শেখ হাসিনা করেছে, এটা তাদের অন্তর্জ্বালা। মানুষ খুশি, আর এই দলটি (বিএনপি) অখুশি। শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, এ জন্য ব্যথার বিষজ্বালায় তারা মরছে। সেজন্য শেখ হাসিনাকে তারা চায় না। বিদেশি মুরুব্বিদের ডাকছে- হটাও শেখ হাসিনাকে। দরকার হলে আবার তত্ত্বাবধায়ক। আদালতের আদেশে যে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে, সেটাকে তারা আবার জীবিত করতে চাচ্ছে। এটা কি হবে? শেখ হাসিনা রিজাইন করবে? সংসদ ভেঙে যাবে? এই সরকার পদত্যাগ করবে? বাংলার মানুষ যেটা চায় না, তারা কেন তা করতে চায়?’
ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে তারুণ্যের যে ঢেউ নেমেছে তা আবেগ ও চেতনা দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মাতৃভূমিকে রক্ষা করব, গণতন্ত্রকে বাঁচাব।’
ছাত্রসমাজকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রুদের রুখতে খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান, প্রস্তুত হয়ে যান। নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করবেন নিজেদের আচরণে। এটা হলে নেত্রীর সুনাম আরও বাড়বে।’