সাকিব আল হাসানের বিদায়ে ভাঙল ১০০ রানের জুটি। ৪৭ রানে প্রথম সারির ৪ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন সাকিব।
পঞ্চম উইকেটে তাকে সঙ্গ দেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাদের ১২০ বলে ১০০ রানের দায়িত্বশীল জুটিতে চাপ সামলে খেলায় ফেরে বাংলাদেশ দল। দলকে গর্ত থেকে টেনে তুলে ৫৩ বলে পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন সাকিব।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৩৮তম ম্যাচে ৫৪তম ফিফটি হাঁকানোর পর একটু হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দেন, তার আগে ৫৭ বলে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৫৩ রান। তার বিদায়ে ২৯.১ ওভারে ১৪৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসিম শাহের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ।
নাসিম শাহের শর্ট অব লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন মিরাজ। তার বিদায়ে ১.১ ওভারে ০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ১১২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে সুপার ফোরে তুলে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন মিরাজ।
আফগান পরীক্ষায় সফল হওয়ার কারণে পাকিস্তান ম্যাচেও মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামানো হয়। এদিন সুবিধা করতে পারেননি জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার।
মিরাজ আউট হওয়ার পর ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ওপেনার লিটন কুমার দাস। ১৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ১৬ রান করা লিটন শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন।
হারিস রউফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে রউফের হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার নাইম শেখ। তিনি ২৫ বলে চার বাউন্ডারিতে ২০ রানে ফেরেন।
৯.১ ওভারে দলীয় ৪৭ রানে হারিস রউফের দ্বিতীয় শিকার হন তাওহিদ হৃদয়। রউফের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তাওহিদ।