‘যারা বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হয় তারা নাকি সরকার পতন ঘটাবে’

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির বক্তব্য হল খালি কলসি বেশি বাজার মতো। তারা কখন কী বলে তারা নিজেই জানে না। যারা জামিন নেওয়ার জন্য পুরুষ হয়েও মহিলাদের বোরকা পরে হাইকোর্টে হাজির হয় তারা নাকি সরকার পতন ঘটাবে। আমরা গত কয়েক বছর আগে দেখেছি বিএনপি নেতারা বোরকা পরে হাইকোর্টের জামিন নিতে গিয়েছিল। এই লজ্জা বিএনপি কোথায় রাখবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলে বেড়াচ্ছে নিরপেক্ষ সরকার না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনার স্বাধীন। সুতরাং স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটি তাদের বিষয়।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে নাই। তারা অংশগ্রহণ না করে ভেবেছিল ধাক্কা দিয়ে সরকার ফেলে দিবেন। বরং সরকার আরও শক্তিশালী হয়েছিল। আমাদের সরকার সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তাই আগামী নির্বাচনের ট্রেনে উঠবে কি উঠবে না সেটি বিএনপির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার ১ কোটি মানুষকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছে। টিসিবির পণ্য শৃঙ্খলাভাবে লাইনে স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনলে এতে তো কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় দেখলাম টিসিবির পণ্যের জন্য লাইন নিয়ে কথা বলে। তাদের কথায় মনে হয় প্রধানমন্ত্রী এক কোটি পরিবারকে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি করার ব্যবস্থা করায় তারা সম্ভবত খুশি হয়নি। জনগণের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসাতে বিএনপিসহ কিছু মানুষের অস্থিরতা বেড়ে গেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশ; যা ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল ও ছোট জনসংখ্যার দেশ ভুটানও করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশ এখন বাংলাদেশ। দেশ যখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত তখন বিএনপি চেহারা মলিন হয়ে গেছে। কারণ দেশের মানুষের ভালো চায়না বিএনপি। তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হতে চলেছে।

এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে দলের জন্য বদনাম কুরায়, যারা নিজেদের চামড়া রক্ষার জন্য দল করে তাদের যদি আমরা বর্জন করি আগামী নির্বাচনও আমাদের বিজয় হবে।

এর আগে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কার্যকরী সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, শহীদুজ্জামান সরকার এমপি, ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন এমপি, ছলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি প্রমুখ।

পরে পুনরায় আব্দুল মালেককে সভাপতি ও  সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ