ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ উপজেলার বড় ঘি-ঘাটি গ্রামে পুকুরের মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছে অন্তত ১১ জন। আহতদের মধ্যে চারজনকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মতলেবুর রহমান জানান, শনিবার সকালে বড় ঘি-ঘাটি সরকারি জমি হুদোর পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন ইদ্রিস আলী। সে সময় পুকুরের পাড়ের জমির মালিক সোহরাব ও তার লোকজন বাধা দিলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের লোকজন লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে পলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেসময় আহত কয়েকজনকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একএকর ৯৯ শতক জমি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুলের নামে সরকার বরাদ্দ দেয়। মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসুলের ছেলে কামাল হোসেনের দাবি লাউতলা কলেজের নামে ভুয়া কাগজপাতি তৈরি করে পুকুরের মাছসহ পুকুরটি দখল করে নেয়। সেই থেকে ইদ্রিস আলীর কাছে পুকুরটি লিস দেওয়া ছিল। পুকুরের জমি সরকারি হলেও পাড়টি ব্যক্তি মালিকানায়। এ নিয়ে পুকুরের পাড়ে বসবাসকারী লোকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
এ বিষয়ে লাওতলা কলেজের সভাপতি গোলাম নবী জানান, হাইকোর্টের একটি রায়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে লাউতলা কলেজ পুকুরটি দখল করে। এরপর কলেজ পুকুরটি ইদ্রিস আলীর কাছে লিস দিয়ে রেখেছে।
তিলোচানপুর ভুমি অফিসের নায়েব শরিফুল ইসলাম জানান, গত সাতদিন আগে ইদ্রিস আলী নামের এক ব্যক্তি ভেকু দিয়ে হুদো সরকারি পুকুরে মাটি কাটছে খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়ে আসি।