খুলনার কাছে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও কুমিল্লার কাছে ততটা নয়। তারপরও ব্যাট হাতে কুমিল্লা দেখালো তাদের কারিকুরি। বিশেষ করে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। আগের ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও শুক্রবার মিরপুরে দেখা মিলল মঈন ঝড়। তার ৯ ছক্কার টর্নেডো ইনিংসে ভর করে খুলনা টাইগার্সের বিরুদ্ধে ১৮৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে খুলনার দরকার ১৮৯ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়। লিটন আগ্রাসী হলেও জয় পাচ্ছিলেন না ছন্দ। দলীয় ৪৩ রানে এই জুটি ভাঙেন নাবিল সামাদ। ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জয় ১৫ বলে ১১ রান করে।
এরপর ডুপ্লেসিসের সাথে দারুণ জুটির আভাস দিয়েও ফেরেন লিটন। ১৭ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রান করেন ইনজুরি থেকে ফেরা লিটন দাস। দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। ৮ বলে ৫ রান করে তিনি খালেদের বলে ক্যাচ দেন তানজিদের হাতে।
তাতে কুমিল্লার বড় স্কোর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ডু প্লেসিসের সাথে ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দেন মঈন আলী। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১৫৪ রান পর্যন্ত। ১৬.৫ ওভারে সৌম্যর বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসিস। যাওয়ার আগে করে যান ৩৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রান।
এর মধ্যে ২৩ বলে ঝড়ো ফিফটি পূর্ণ করেন মঈন আলী। ফিফটিতে যেতে তিনি হাঁকান ৭টি ছক্কা। ডু প্লেসিসের পর মাহাদীর বলে বোল্ড সুনীল নারাইন। গোল্ডেন ডাক। তবে মঈন ছিলেন নিজের মতোই বিধ্বংসী। তিনি আউট হন ১৯তম ওভারে পেরেরার বলে ফ্লেচারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। যাওয়ার আগে করে যান মাত্র ৩৫ বলে ৭৫ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৯টি ছক্কার মার। চার মাত্র একটি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬ বলে থাকেন ১২ রানে অপরাজিত।
বল হাতে খুলনার হয়ে পেরেরা দুটি, খালেদ, নাবিল, মাহেদী ও সৌম্য নেন একটি করে উইকেট।