কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যেন নির্বাচন কমিশনে স্থান না পায় তার সুপারিশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার। তিনি বলেন, আমার এই দাবির সাথে অনেকেই সমর্থন জানিয়েছেন।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনের নিয়োগ এ সার্চ কমিটির সাথে বৈঠকে বিশিষ্ট নাগরিকদের অংশগ্রহণ শেষে আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কিংবা আগের কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুবিধাপ্রাপ্তরা যেন কমিশনে স্থান না পান, এটাই দাবি জানিয়েছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে তিন ধাপে ৬০ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে সার্চ কমিটি মিটিংয়ের প্রথম বৈঠকে ১৪ জন অংশ নেন। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আইনজীবী এম কে রহমান, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি (শিক্ষা) ড. মাকসুদ কামাল, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ, ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির দ্বিতীয় দিনের বৈঠক শেষে ৬০ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানান অনুসন্ধান কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ৫ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।