দক্ষিণ আফ্রিকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মো. গোলাম মোস্তফা (৩৮) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময়গত বৃহস্পতিবার রাতে আফ্রিকার থাবানচু এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল পর্যন্ত নিহতের লাশ দেশটির স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমাগারে রয়েছে। লাশ বাংলাদেশি ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন নিহতের পরিবার। পরিবারের লোকজনের মধ্যে চলছে শোকের মাতম।
নিহত মো. গোলাম মোস্তফা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন গোলাম মোস্তফা। তিনি দুই ছেলের জনক।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিহতের বড় ভাই মো. গোলাম ছারওয়ার।
তিনি বলেন, জীবন-জীবিকার সন্ধানে গত ১০ বছর আগে আফ্রিকায় যান গোলাম মোস্তফা। পরে আফ্রিকার থাবানচু এলাকায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে মোস্তফা।
২০১৯ সালে বাড়িতে আসার পর পুনরায় ২০২০ সালের প্রথম দিকে আফ্রিকায় ফিরে যান মোস্তফা। প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেছিলেন মোস্তফা। রাত ৮টার দিকে মোবাইলে মা, স্ত্রী ও ছেলেদের সঙ্গে কথা হয় তার। এরকিছুক্ষণ পর সেই দেশি একদল সন্ত্রাসী তার দোকানে এসে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করলে নিচে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় তিনি।
পরে সন্ত্রাসীরা তার দোকানে থাকা টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মোস্তফার লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে রাখেন।
নিহতের বড় ভাই মো. গোলাম ছারওয়ার আরও বলেন, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১টার দিকে মোস্তফার মৃত্যুর বিষয়টি তার পার্শ্ববর্তী একজন আমাদের মোবাইলে জানান।
মোস্তফার লাশ দ্রুত বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।