তথ্য চাওয়া ও পাওয়া মানুষের অধিকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সব ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনগোষ্ঠী গড়ে তুলছি। তথ্য চাওয়া ও পাওয়া মানুষের অধিকার। আওয়ামী লীগ সরকার মোবাইল ফোনকে সর্বজনীন করেছে।

রোববার সকালে নবনির্মিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন’ ও ‘তথ্য কমিশন ভবন’ এবং ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে সামরিক শাসন জারি করে যারা সরকারে এসেছিল, তারা কখনই গণমানুষের কথা ভাবেনি। সেটি জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া যেই হোক। ক্ষমতাকে ভোগ করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার করা, এটিই তারা জানত। বর্তমানে দুর্যোগ ও অগ্নিসন্ত্রাস মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সিনেমা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কলকাতা থেকে এই উপমহাদেশে সিনেমার যাত্রা শুরু। আমাদের সিনেমা শিল্পের যাত্রা জাতির পিতার হাত ধরে। উনি শিল্পমন্ত্রী থাকাবস্থায় এফডিসি নির্মাণ করেন।

তিনি বলেন, সিনেমায় জনসাধারণের জন্য বার্তা থাকতে হবে। মাঝে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখা যেত না। এখন তার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আধুনিক প্রযুক্তিতে সিনেমা দেখানো হয়। হল মালিকদের সিনেপ্লেক্স তৈরির সুযোগ করে দিয়েছি। এখন ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে, বিদেশে আমাদের সিনেমা প্রশংসা পাচ্ছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সুবিধার ব্যবস্থা আমরাই করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আমরা গঠন করেছি। যন্ত্রশিল্পী থেকে শুরু করে সব শিল্পীর সহায়তা করেছি। মানসম্মত সিনেমা নির্মাণের সব ব্যবস্থা করেছি। এফডিসি কমপ্লেক্স করছি।

আমি মনে করি, শিশুদের জন্য সিনেমা করতে হবে। যারা সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তাদের শিশুদের জন্য সিনেমা নির্মাণ করার অনুরোধ করছি।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ