মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।এতে করে ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ঘিওর উপজেলায় ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ১৯ মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও বাকি বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই।
রায়হান শিকদার নামের একজন অভিভাবক বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফলস্বরুপ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
তোফাজ্জ্বল হোসেন বলেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে মায়ের ভাষা বাংলা পেয়েছি তাদের স্মরণে বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রনজিত কুমার রায় বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হলে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, ঘিওর উপজেলারয় ৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে প্রায় ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম আব্দুল হান্নান জানান, ঘিওরে ২২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ও ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এদের মধ্যে ১৯টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য দ্রুত একটি প্রকল্প তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।