এসআই পরিচয়ে প্রেম, বিয়ের পর জানা গেল পান বিক্রেতা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে কলেজছাত্রীর (২৬) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে সেই সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। বিয়ের দুই মাস পর জানা গেল, তিনি আসলে পান বিক্রি করেন।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রতারক উৎপল মন্ডল (৪০) কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

উৎপল মন্ডল গোপালগঞ্জের মকছেদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের ছেলে।

 

জানা গেছে, প্রতারণার শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে উৎপল মন্ডলের মোবাইলে পরিচয় হয়। বেশ কিছু দিন কথা চলে তাদের। তারপর জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। দুই মাস আগে ফরিদপুর আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন তারা।

প্রতারণার শিকার ওই কলেজছাত্রীর পরিবার জানায়, উৎপল নিজেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিতেন। প্রথম দিকে মেয়ের বাড়ির লোকজন ওই বিয়ে না মানলেও জামাই এসআই শুনে মেনে নেন। প্রায় দুই মাস ধরে শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত করেন উৎপল। এর মাঝে এসআই থেকে প্রমোশন হবে এমন কথা বলে দুই লাখ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন শ্বশুরের কাছ থেকে। পরে পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানে নানা প্রতারণার আশ্রয় নেন উৎপল। দুই দিন আগে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মনে সন্দেহ হয়।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে আসার পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এসআই পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। আসল পরিচয় জানার পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তিনি আগেও বোয়ালমারীতে বিয়ে করেছেন।

নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, ‘পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করায় ওই পান বিক্রেতাকে স্থানীয় লোকজন ধরে আমাকে খবর দেয়। পরে পুলিশে সোপর্দ করি।’

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুজ্জামান বলেন, ‘প্রতারণার শিকার পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা দায়ের করা হয়।’

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ