রাজধানীর শাহজাহানপুরে ফিল্মিস্টাইলে দুর্বৃত্তের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুর হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাতে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বহুল আলোচিত এবং চাঞ্চল্যকর জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং টিপুকে অনুসরণকারীসহ চার জনকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনের সড়কে দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে এ গুলি চালায় বলে জানান স্থানীয়রা। এতে এক কলেজছাত্রীও নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪) মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিহত অপরজনের নাম সামিয়া আরেফিন প্রীতি (২৪)। তিনি বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম মুন্না। তিনি নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর গাড়িচালক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, হামলার সময় টিপু একটি গাড়িতে ছিলেন। দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রাত সোয়া ১১টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার সকালে শাহজাহানপুর থানায় করা এ মামলায় তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি। অজ্ঞাত আসামি হিসেবে মামলা করেছেন ডলি।
শাহজাহানপুর থানার ওসি মনির হোসেন মোল্লা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-১৮। অভিযোগে তিনি কারও নাম উল্লেখ করেননি।
মামলার এজাহারে টিপুর স্ত্রী অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর থানাধীন ২০২ উত্তর শাহজাহানপুর মানামা ভবনে বাটার দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা হামলা করেন। তারা আমার স্বামী জাহিদুল ইসলাম টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে গুলি করেন।